Thursday, December 26, 2024

সংখ্যা পদ্ধতি

সংখ্যা পদ্ধতিঃ কোন প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করে সংখ্যাকে প্রকাশ করার ও গণনা করার রীতি বা পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

আমরা দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রকার হিসাব নিকাশ করার জন্য যেসকল কৌশল ও বিন্যাস দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন মানের বা ক্ষেত্রের জন্য সংখ্যাকে যে ভাবে ব্যবহার করি তাও হচ্ছে এক প্রকার সংখ্যা পদ্ধতি।

পৃথিবীর উন্নত সভ্যতাগুলোর মাঝে অনেক প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির উন্মেষ ঘটেছিল। তা সত্বেই প্রয়োজন ও সহজ প্রয়োগের ভিক্তিতে কোন পদ্ধতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে কোন পদ্ধতি টিকে আছে।

বর্তমান যে সংখ্যা পদ্ধতিগুলো টিকে আছে তা প্রধানত দুই ভাবে ভাগ করা যায়। যেমনঃ-

১। নন-পজিশনাল বা অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি।

২। পজিশনাল বা স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি।


১। নন-পজিশনাল বা অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতিঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার কোন স্থানীয় মান নেই। এবং অবস্থানের ভিক্তিতে ঐ সংখ্যার মানের কোন পরিবর্তন হয়না তাকে নন-পজিশনাল সংখ্যা বলে। খুব স্বল্প দুরত্বে মানের কিছু স্থান পরিবর্তন হলেও তার ক্ররম থাকেনা নন পজিশনাল সংখায়। সংখ্যার স্থানীয় মান সবাই দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়েছো । একক, দশক, শতক দাগ টেনে অংক করেছিলে মনে আছে নিশ্চয়।

নন-পজিশনাল সংখ্যা যেমন v=5 ধরা হয়। তাহলে এখানে v হচ্ছে নন পজিশনাল সংখ্যা। আবার x =10, l=50 c=100 D= 500 M=1000 ইত্যাদি নন পজিশনাল সংখ্যা।

২। পজিশনাল বা স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতিঃ যে সকল সংখ্যা গুলোর স্থানীয় মান আছে এবং স্থান পরিবর্তন করলে মান পরিবর্তন হয় তাদেরকে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন ১২৩ দ্বারা শতক পর্যন্ত মান বোঝায় এবং ৩ এর একক স্থানীয় , মান পরিবর্তন করে দশক স্থানে নিলে পুরা সংখ্যার মান পরিবর্তন হয়ে ১৩২ হয়ে যায়। এবং এই ক্রম চলতেই থাকে।

পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ-

১। বাইনারিঃ এই পদ্ধতিতে মাত্র দুটি প্রতিক সংখ্যা হিসাবে ব্যবহার হয়। যথা ০,১ এই কারনে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির বেস ২ । ১০১১০১, ১১০০১০১

২। অক্টালঃ এই পদ্ধতিতে ৮ট প্রতিক ব্যবহার হয়। যথা ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭ এই কারনে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেস ৮ । উদাহরন ৪৫৭, ৫৮৬

৩। ডেসিমেলঃ এই পদ্ধতি আমাদের অতি পরিচিত। আসলে আমরা দৈনন্দিন যে হিসাব করি তা মূলত এই পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতির প্রতিক বা অংক ১০টি। যথা ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ একারনে ডেসিমেল এর বেস ১০। উদাহরন ৭৮৯

৪। হেক্সাডেসিমেলঃ এই পদ্ধতিতে প্রতিক আছে মোট ১৬টি। যথা ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,A,B,C,D,E,F এই কারনে এক্সাডেসিমেলের বেস ১৬ । উদাহরনঃ ৬A2F

Acoustic energy

Acoustic energy: Acoustic energy is the energy carried by sound waves as they travel through a medium like air, water, or solid materials. I...

Subscribe to our newsletter